২০১৮ সালে বিশ্ব মাতাবে যেসব প্রযুক্তি!


ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি রিভিউ (এমআইটি রিভিউ) ২০১৮ সালের সেরা ১০ প্রযুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে নতুন এই প্রযুক্তি ২০১৮ সালকে অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় বদলে দেবে। চলুন দেখে নেই চমৎকার এই প্রযুক্তি কিভাবে ২০১৮ কে বদলে দেবে।

১। থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টিং
বিগত বছরগুলোতে আমরা থ্রি ডি প্লাস্টিক প্রিন্টিং এ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবার থেকে সহজেই থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টিং করা যাবে। নতুন এই প্রযুক্তিতে চাহিদা অনুযায়ী যে কোন পরিমাণে প্রিন্ট করা যাবে। ভোক্তারা তাই ছোট বড় যে কোন অর্ডার দিতে পারবেন। এমনকি যেকোনো জটিল আকারের থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টও করা যাবে।
২। কৃত্রিম ভ্রূণ
গবেষকরা প্রথম বারের মতো শুধুমাত্র শস্য কোষ থেকে ভ্রূণ আবিষ্কার করেছেন। এখানে ডিম্বাণু কিংবা শুক্রাণু ব্যবহার করা হয়নি। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে জীবের অস্তিত্বের ধারণা আরও সহজ হবে। সেই অনেক দার্শনিক ও নৈতিক সংকটের সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে জিবের উৎপত্তি সম্পর্কিত ধারণা আরও স্পষ্ট কতে এই প্রযুক্তি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
৩। সেন্সিং সিটি
গুগলের মাদার কোম্পানি এলফাবেট কানাডার ওয়াটার ফ্রন্ট জেলায় সেন্সর বসাচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি শহরের কী ভাবে গড়ে উঠছে, পরিচালিত হচ্ছে এবং মানুষের জীবন যাত্রা মান উন্নয়নে নতুন করে চিন্তা করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য আধুনিক স্মার্ত নগর প্রতিষ্ঠা করা।
৪। ক্লাউড নির্ভর আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স সার্ভিস
আমাজন, গুগল, আইবিএম, মাইক্রোসফট এর মতো কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরেই মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করে আসছে। নয়া এই প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স বিশ্বব্যাপী ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এবং এই বিষয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
৫। ডুয়েলিং নিউরাল নেটওয়ার্ক
নতুন এই প্রযুক্তি কল্পনা শক্তি ও আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্সের দ্বান্দিকতা তৈরির মাধ্যমে উন্নয়নে কাজ করবে। গুগল ব্রেইন, ডিপ মাইন্ড, এনভিডিয়া বাস্তব চিত্র ও শব্দ তৈরিতে কাজ করে চলেছে। ডুয়েলিং নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স এমন ছবি তৈরি করতে পারে যা সে আগে দেখেনি।
৬। বাবেল ফিস ইয়ারবাডস
এই ইয়ারবাড ব্যবহার করে অজানা ভাষা বোঝা সম্ভব হবে। শব্দ ইয়ারবাডে পৌছতেই তা দ্রুত অনুবাদ করে দেবে। আর তাই এই মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি খুব সহজেই যে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এবং অন্য ভাষা সহজেই বুঝতে পারবে।
৭। কার্বন মুক্ত প্রাকৃতিক গ্যাস
নতুন এই প্রযুক্তিগত প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ার সময়ে কে কার্বন উৎপন্ন হয় তা ধরে ফেলবে। এর মাধ্যমে গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া রোধ করা সম্ভব হবে। আর শক্তি সম্পদ উৎপাদনের কারণে পরিবেশ দূষিত হবে না।
৮। অনলাইন প্রাইভেসি রক্ষা
ব্লক চেইন ভিত্তিক প্রাইভেসি ব্যবস্থা অনলাইনে লেনদেনের সকল তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করে। এতে তথ্য বেহাত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যও প্রকাশ করা সম্ভব কিন্তু আপনি যা গোপন রাখতে চান তা অপ্রকাশিতই থাকবে।
৯। জেনেটিক ফরচুন টেলিং
জিনগত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ বলতে পারে। এবং এটি বেশ সঠিক। যেমন একজন মানুষের জীবনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কতটুকু তা জেনেটিক ফরচুন টেলিং এর মাধ্যমে নিরূপণ করা যায়। এছাড়া যে কোন ব্যক্তির ভবিষ্যতে বুদ্ধিমত্তা কোন পর্যায়ে যাবে তাও এর মাধ্যমে বলা যায়।
১০। ‘ম্যাটারিয়ালস’ কোয়ান্টাম লিপ
আইবিএম এর সাত কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে পূর্ণ অণুর বাস্তব ভিডিও চিত্র তৈরি করা সম্ভব। বেরিলিয়াম হাইড্রাইট অণুর সিমুলেশন তৈরি এখন পর্যন্ত সব থেকে বড় অর্জন। এই নতুন প্রযুক্তির উদ্দেশ্য বিজ্ঞানীরা যেন যে নতুন সকল ধাতুর নকশা করতে পারে। এবং নিজেদের ইচ্ছা মত ধাতুর গুণাগুণ নির্ধারণ করতে পারে। এই প্রযুক্তিতে অদ্ভুত সব ধাতু তৈরি করা যাবে।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার।

No comments

Powered by Blogger.