দুর্দান্ত সব গেইমিং ফোন!
শক্তিশালী ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপের চেয়ে কম রেজল্যুশনের ডিসপ্লে, শক্তিশালী ব্যাটারি আর র্যাম ‘ওয়ানপ্লাস ৫টি’কে করেছে দুর্দান্ত এক গেইমিং ফোন। ফোনটিতে আছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫, ২ দশমিক ৪৫ গিগাহার্জ গতির অক্টাকোর প্রসেসর, অ্যাড্রিনো ৫৪০ জিপিউ আর ৬ অথবা ৮ গিগাবাইট র্যাম। ফোনটির ডিসপ্লে ১৮:৯ অনুপাতের, আকৃতি ৬ দশমিক ০১ ইঞ্চি। লম্বাটে ডিসপ্লেতে গেইমের ইন্টারফেইস, অর্থাৎ বাটনগুলো গেইমের দৃশ্যের ওপর প্রতিবন্ধকতা করে না। ওলেড প্রযুক্তির ডিসপ্লেটির রেজল্যুশন ২১৬০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। এই রেজল্যুশনে প্রায় প্রতিটি গেইমই ফুল গ্রাফিকসে ৬০ এফপিএসে খেলা যাবে। ফোনটির র্যাম ও স্টোরেজও উচ্চগতির। ফলে গেইম চালু বা লোড হতে সময় লাগে অনেক কম। গেইম খেলার সময় পারফরম্যান্স ধরে রাখতে আর সব ধরনের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখার জন্য আছে গেইমিং মোডও। মূল্য ৪৯,৯৯০ টাকা।
শাওমি এমআই ৬
শাওমির ফ্ল্যাগশিপও গেইমিংয়ে পিছিয়ে নেই। এই সেটে আছে ২ দশমিক ৪৫ গিগাহার্জ গতির স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ অক্টাকোর প্রসেসর, ৪ অথবা ৬ গিগাবাইট র্যাম, অ্যাড্রিনো ৫৪০ জিপিউ। তবে ডিসপ্লেটি পুরনো ১৬:৯ অনুপাতের ৫ দশমিক ১৫ ইঞ্চি আইপিএস প্যানেল, যার রেজল্যুশন ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ডিসপ্লে রেজল্যুশন তুলনামূলক কম হওয়ায় ফোনটিতে গেইম আরো দ্রুতগতিতে চলবে। যারা একটু ছোট ফোন ব্যবহার করে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এই ফোনের আকৃতি খুবই পছন্দ হবে। শাওমির মিইউআই রমে গেইমিংয়ের জন্য বিশেষায়িত ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোড দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে আছে বাড়তি গতির জন্য পারফরম্যান্স মোড। গেইম খেলার সময় সিস্টেম ইন্টারফেইস যাতে বিরক্ত না করে, তার জন্য দেওয়া হয়েছে ইমার্সিভ মোড। ফোনটির দ্রুতগতির র্যাম, স্টোরেজ আর অ্যাড্রিনো ৫৪০ জিপিউ প্রতিটি গেইম ৬০ এফপিএসে চালাতে সক্ষম, তা-ও গ্রাফিকস না কমিয়ে। মূল্য ৪৪,৯৯০ টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৯ প্লাস
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৯ প্লাস প্রতিটি কাজই সুন্দরভাবে করতে সক্ষম, গেইমিংও বাদ পড়েনি সেই তালিকা থেকে। অত্যন্ত শক্তিশালী স্যামসাং এক্সিনস ৯৮১০ অক্টাকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ ফোনটি প্রতিটি গেইম ৬০ এফপিএসএ চালাতে সক্ষম। ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ২ দশমিক ৯ গিগাহার্জ গতির প্রসেসর আর ১৮টি কোরের মালি জি৭২ জিপিউ, সঙ্গে আছে ৬ গিগাবাইট র্যাম। সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের সাইজ ৬ দশমিক ২ ইঞ্চি, রেজল্যুশন ১৪৪০ বাই ২৯৬০ পিক্সেল। শুধু চিপসেটের ক্ষমতাই নয়, গেইমের গ্রাফিকস এইচডিআর সমর্থিত ডিসপ্লেতে পৌঁছে গেছে অন্য মাত্রায়। ডুয়াল স্পিকারও গেইমের সাউন্ড উপভোগ করতে কার্যকর। তবে ডিসপ্লের রেজল্যুশন বেশি হওয়ায় ভবিষ্যতের কিছু গেইম ফুল আল্ট্রা গ্রাফিকসে ৬০ এফপিএসএ না-ও চলতে পারে। তবে অগমেন্টেড রিয়ালিটি গেইমের জন্য ফোনটির নেই কোনো জুড়ি। ব্যাটারি ৩৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার। মূল্য ১,০৫,৯০০ টাকা।
গেইমিং সব সময়ই হাই গ্রাফিকসের না-ও হতে পারে। স্ট্র্যাটেজি গেইম, যেমন—‘মুক্তি ক্যাম্প’ বা ‘ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস’-এর জন্য ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর নয়; বরং বড় ডিসপ্লে আর ব্যাটারি গুরুত্বপূর্ণ বেশি। সে ক্ষেত্রে শাওমি এমআই ম্যাক্স ২ আদর্শ ডিভাইস। ফোনটির বিশাল ৬ দশমিক ৪৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের রেজল্যুশন রাখা হয়েছে ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ফলে অতিরিক্ত রেজল্যুশনের ভারে গেইম ল্যাগ করবে না অথচ ডিসপ্লেতেও প্রতিটি অংশ সুন্দরভাবে দেখা যাবে। এতে আছে ২ গিগাহার্জ গতির কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬২৫ অক্টাকোর প্রসেসর, অ্যাড্রিনো ৫০৬ জিপিউ আর ৪ গিগাবাইট র্যাম। প্রতিটি গেইম ল্যাগ ছাড়া খেলা যাবে এতে, তবে সব সময় ৬০ এফপিএস বা আল্ট্রা গ্রাফিকসে নয়। টানা গেইমিংয়ের জন্য শক্তিশালী ৫৩০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারিও রয়েছে এতে। মূল্য ২৩,৯৯০ টাকা।
শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৩০ অক্টাকোর প্রসেসর, অ্যাড্রিনো ৫০৮ জিপিউ আর ৪ গিগাবাইট র্যামের সমন্বয়ে তৈরি এই মটরোলা নিঃসন্দেহে গেইমিংয়ের জন্য যথাযথ এক ফোন। তবে অন্যান্য ফোনের সঙ্গে এটির মূল পার্থক্য, রোদ-বৃষ্টিতেও গেইম খেলা যাবে—অর্থাৎ পানিনিরোধী এটি। ফোনটিতে ৩, ৪ এবং ৬ গিগাবাইট র্যাম দেওয়া হয়েছে, আর ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ দশমিক ২ ইঞ্চি এলটিপিএস এলসিডি প্রযুক্তির, যার রেজল্যুশন ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ফোনটির ব্যাটারিও চলনসই, ফোনের চিপসেট ও ডিসপ্লে সাইজের জন্য ৩০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি যথাযথ। প্রতিটি অ্যানড্রয়েড গেইমই সহজে হাই গ্রাফিকসে খেলা যাবে, ফ্রেমরেটও ৪০-এর নিচে নামবে না। যারা চলার পথে বেশি গেইম খেলে তাদের জন্য পানিনিরোধী এই মাঝারি মূল্যের ফোনটি বেশ কাজের। মূল্য ৩৪,৯০০ টাকা।
গেইমিংয়ের জন্য অপেক্ষাকৃত কম দামের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ কিনতে চাইলে রেডমি নোট ৫ হতে পারে আদর্শ এক ফোন। কী নেই এতে? কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৩৬, ১ দশমিক ৮ গিগাহার্জ গতির অক্টাকোর প্রসেসর, অ্যাড্রিনো ৫০৯ জিপিউ আর ৪ অথবা ৬ গিগাবাইট র্যামসমৃদ্ধ ফোনটি আজকের প্রায় সব গেইম ল্যাগ ছাড়া চালাতে সক্ষম, তবে আল্ট্রা গ্রাফিকসে ৬০ এফপিএস সব গেইমে না-ও পাওয়া যেতে পারে। ফোনটির ডিসপ্লে ১৮:৯ অনুপাতের, রেজল্যুশন ২১৬০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ফলে গেইম খেলার সময় গেইমের ইন্টারফেইস বাটন সমস্যা করবে না। ফোনটিতে ব্যাটারির ধারণক্ষমতা ৪০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। গেইমের উত্তেজনামূলক মুহূর্তগুলোয় হঠাৎ করেই ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই । মূল্য ২৩,৯০০ টাকা।
নকিয়া ৭ প্লাস
পুরোদমে ফ্ল্যাগশিপ না হলেও নকিয়া ৭ প্লাস গেইমিংয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই। এতে আছে ২ দশমিক ২ গিগাহার্জ গতির কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে আছে অ্যাড্রিনো ৫১২ জিপিউ আর ৪ গিগবাইট র্যাম। লম্বাটে ৬ ইঞ্চি ডিসপ্লেটি আইপিএস এলসিডি প্রযুক্তির, এটির রেজল্যুশন ২১৬০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। প্রায় সব গেইমই এতে উচ্চ গ্রাফিকসে ৬০ এফপিএসে খেলা যাবে, ল্যাগ করার কোন সম্ভাবনাই নেই। ফোনের ডিসপ্লের সাইজ ও অনুপাত গেইম খেলার জন্য এককথায় আদর্শ। ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ৩৮০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি, যা টানা গেইমিংয়ে ভালোই ব্যাকআপ দিতে পারবে। আর গেইম খেলার সময় সেটটি খুব একটা গরমও হয় না। মূল্য ৩৭,০০০ টাকা।
অ্যাপল বরাবরই গেইমিংয়ে অ্যানড্রয়েডের চেয়ে এগিয়ে আছে, ফোনের হার্ডওয়্যারগত শক্তিতে নয়; বরং গেইমের সংখ্যায়। প্রায় প্রতিটি মোবাইল গেইম প্রথমত আইফোনের জন্য তৈরি করা হয়, অনেক উচ্চ গ্রাফিকসের গেইম শেষ পর্যন্ত অ্যানড্রয়েড পর্যন্ত পৌঁছেও না। আর কেন পৌঁছে না, তা এই আইফোনের দিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে। এতে আছে হেক্সাকোর অ্যাপল এ১১ বায়োনিক প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাম আর অ্যাপলের নিজস্ব জিপিউ। অন্যান্য গেইম ৬০ এফপিএস-এ আল্ট্রাতে চালানোর পাশাপাশি অগমেন্টেড রিয়ালিটি গেইমও সহজেই চলবে এ ফোনটিতে। ফোনটি পানিনিরোধী। ফলে অগমেন্টেড রিয়ালিটির যেসব গেইম ঘরের বাইরে খেলতে হতে পারে, তার জন্য এটা কার্যকরী এক ফোন। তবে ব্যাটারি লাইফ অন্যান্য ফোনের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে, মাত্র ১৮২১ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার। মূল্য ৯২,০০০ টাকা।
বাজেটের মধ্যে গেইমিং স্মার্টফোন কিনতে চাইলে ‘রেডমি ৫এ’-এর পারফরম্যান্সের সঙ্গে আর কেউ টেক্কা দিতে পারবে না। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪২৫, ১ দশমিক ৪ গিগাহার্জ অক্টাকোর প্রসেসর আছে এতে। সঙ্গে আছে অ্যাড্রিনো ৩০৮ জিপিউ। ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ২ গিগাবাইট র্যাম। সব মিলিয়ে রেডমি ৫এ বাজেট ডিভাইসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রতিটি গেইম অন্তত নিম্ন গ্রাফিকসে হলেও খেলা যাবে, পাওয়া যাবে ৩০ এফপিএস। ফোনটির ডিসপ্লে ১২৮০ বাই ৭২০ পিক্সেল রেজল্যুশনের, আকৃতি ৫ ইঞ্চি আর তৈরি করা হয়েছে আইপিএস এলসিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ডিসপ্লের রেজল্যুশন কম হওয়ায় গেইম আরো দ্রুতগতিতে চলবে। প্রসেসর ও ডিসপ্লের আকৃতির তুলনায় ৩০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি যথেষ্টই বলা চলে। মূল্য ১০,৯৯০ টাকা।
হুয়াওয়ের সর্বশেষ মাঝারি বাজেটের ফোন গেইমিংয়ের জন্যও কাজের, বিশেষ করে যারা স্ট্র্যাটেজি ঘরানার গেইম খেলে তাদের জন্য সেরা বাজেট ডিভাইস হতে পারে এটি। কিরিন ৬৫৯, ২ দশমিক ৩৬ গিগাহার্জ গতির অক্টাকোর প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট র্যাম, আর মালি টি৮২০ এমপি২ জিপিউর ডিভাইসটি গেইম চালাতে পারবে সহজেই। তবে এর মূল আকর্ষণ ৫ দশমিক ৮৪ ইঞ্চি, ২২৮০ বাই ১০৮০ পিক্সেল রেজল্যুশনের এলটিপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। বড়সড় লম্বাটে এই ডিসপ্লের কল্যাণে (স্ট্র্যাটেজি) গেইম খেলার সময় বারবার স্ক্রল করতে হবে না। ফোনটির ব্যাটারিও টানা গেইমিংয়ে ব্যাকআপ দিতে পারবে। মূল্য ২৭,৯৯০ টাকা।
খবর কালের কন্ঠ।
good
ReplyDeletethanks
DeleteI like this web blog , useful & very popular content in your blog. I have a web site also same article in my web site. https://techonlinebd.com
ReplyDeletebd jobs
bd jobs today
bd jobs circular
bd jobs 2019
bd jobs circular 2019
techonlinebd.com
health tips
bd tips and tricks
bd tips
mobile price in bangladesh
mobile price 2019