সকল বোর্ডের রেজাল্ট দেখুন এখানে!!!


আসসালামু আলাইকুম । সুপ্রিয় JSC, SSC, HSC পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছ। দেখতে দেখতে সবার পরীক্ষা শেষে ফলাফল ঘোষণার দিন ও এগিয়ে এল।সবাই খুব চিন্তায় আছ নিশ্চয়ই।অবশ্য চিন্তা করারই কথা। তোমরা হয়তো ইতিমধ্যে সকলেই জেনে গেছ যে আগামী ৬ই মে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তোমাদের কাঙ্খিত এস এস সি রেজাল্ট ২০১৮ । তাই এখন প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মনে একটাই চিন্তা, ‘ কিভাবে সবার আগে ফলাফল দেখা যাবে? ‘
সে ক্ষেত্রে তোমাদেরকে জানিয়ে রাখি যে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টায়, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন মাধ্যমে ও সংবাদমাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে সমন্বিতভাবে।
এবং দুপুর দুইটা থেকে শিক্ষার্থীরা এবং বিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্রভাবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের এসএমএস,ও প্রতিষ্ঠান থেকে জানতে পারবে।
এবার নিশ্চয়ই তোমাদের মনে প্রশ্ন আসছে যে,
এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব,তুমি ৩টি উপায় অবলম্বন করতে পারো।
* প্রথম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে ফলাফল খুঁজে বের করা।তার জন্য তোমাকে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে শুধুমাত্র নিচে ক্লিক করতে হবে এবং দেখা যাবে তোমার ফলাফল।


* দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল ফোনের এসএমএস এর মাধ্যমে রেজাল্ট বের করা।তবে এটা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ একটা ব্যাপার।ফলাফল প্রকাশের দিন এতো বেশী এসএমএস এর চাপ থাকে যে সকল কাজ খুব ধীরগতির হয়ে যায় এবং ফলাফল পেতে পরের দিন সকাল হয়ে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই।
* তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই ফলাফলের অনুলিপি পাঠানো হয় তাই সেখান থেকেও জেনে নিতে পারো তোমার ফলাফল।তবে এটাও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ কারন প্রতিষ্ঠানে ফলাফল পৌছাতে বিকেল বা সন্ধ্যাও হয়ে যায়।
সুতরাং আমি সবাইকে পরামর্শ দিব যে সবার আগে এবং সহজ ও অল্পসময়ে ফলাফল শুধুমাত্র আমাদের দেয়া লিংকে প্রবেশ করেই পেতে পারো।
# এইবার আসছি এই বছরের এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু আলোচনায়:
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সবমিলিয়ে দেশের আটটি সাধারণ বোর্ড,মাদ্রাসা বোর্ড,দাখিল ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে শুরু হয়েছিল ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এবং শেষ হয়েছে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮, যদিও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হতে প্রায় ৫-৬মার্চ পর্যন্ত লেগেছিল।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর এসএসসি পরীক্ষা একটু ভিন্নভাবে সংগঠিত হয়েছিল। সারাদেশে অভিন্ন সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে এবং অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর mcq অংশের পরীক্ষা সৃজনশীল এর পূর্বে নেয়া হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তৎপরতার মধ্য থেকেই শেষ হয়েছে এইবারের পরীক্ষা। এই বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রায় ৪১২টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল যার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র ছিল এবং ছাত্রী সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী বেশী অংশগ্রহণ করেছে পরীক্ষায়।
এ বছর সাধারণ পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় প্রায় ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরি ভোকেশনালে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
প্রশ্ন ফাঁস রোধে এবারের পরীক্ষা একটু ভিন্নধাঁচের হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন ফাঁস রোধের জন্য সারাদেশের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নজির সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ছিল।পরীক্ষার পূর্বে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট সংযোগ ধীরগতিসম্পন্ন করে দেয়ার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছিল।এছাড়া ফেসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলো কড়া পাহারায় রাখা হয়েছিল।উল্লেখ্য যে, এ বছর বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছিলেন।তিনি বলেন যে, এবছর এসএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা দুটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
সেখানে মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে কেউ যদি ২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্ন ও মিথ্যা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পিছনে ছুটে যাবে, তার ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। পরীক্ষার হলে এইবার কেন্দ্রসচিব শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া যে কোন প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষাকেন্দ্রে নিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বরাবরের মতো। এমন কি পরীক্ষা কেন্দ্রে অবস্থিত সকল শিক্ষক এবং দায়িত্বরত সচীব দেরও ফোন ব্যবহার নিষেধ ছিল। এত কিছুর পরও দেখা গেছে যে পরীক্ষার আগের দিন রাতে ফেসবুকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সংগঠিত প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে।
যাইহোক অবশেষে পরীক্ষা ও শেষ হলো এবং রইল ফলাফলের প্রত্যাশা।প্রতিবছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দেখা যায় যে প্রতিবছর অনলাইন শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখার জন্য সকাল থেকেই পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ হামলে পড়ে যার ফলে সার্ভার এতো চাপ নিতে না পেরে ধীরগতির হয়ে পড়ে। যার ফলাফলস্বরূপ ঘোষিত হওয়ার পরেও কেউই ঠিক ভাবে ঠিক সময়ে ফলাফল পায়না। সবাই ঘুরতে থাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাওয়ার আশায় কিন্তু দেখা যায় বেশিরভাগ ওয়েব সাইটে ভুয়া লিংক এ প্রবেশ করে পথ হারায়।আর তার জন্যেই তোমাদের সকল চিন্তার সমাধান দিতেই আমাদের এই আয়োজন।
আমি বলব না যে রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার দেড় ঘণ্টা আগেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তুমি রেজাল্ট পাবে।তবে এটা বলব যে অন্তত খুব সহজেই সবার আগেই ফলাফল


পেতে আমাদের ওয়েবসাইট তোমাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
তাই কোনো চিন্তা না করেই ফলাফল প্রকাশের দিন প্রথমে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবে এবং নিচে ক্লিক করা মাত্রই তোমার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট দেখতে পারবে এবং খুব সহজেই জেনে নিতে পারবে তোমার কাঙ্খিত ফলাফল।

No comments

Powered by Blogger.